তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে অভিযোগের নোটিশের জবাব দেওয়ার আগেই শোরুম ম্যানেজারকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও তার কিশোর গ্যাং সদস্যদের বিরুদ্ধে ।

গতকাল বৃহস্পতিবার(১০ জুন) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার মালিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন সদর রোডস্থ মালিপাড়া এলাকায় আল-মদিনা অটো সেন্টার শোরুম থেকে নাজমুল নামের এক ব্যক্তি একটি অটো-বোরাক কিস্তিতে ক্রয় করেন। কিছু দিন পরে ব্যটারির সমস্যা দেখিয়ে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের কাছে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ কার্যালয় প্যাডে আল-মদিনা অটো সেন্টার শোরুমের ম্যানেজার রফিকুল ইসলামকে সকল ধরণের কাগজপত্র নিয়ে ১০জুন বিকাল ৬টার দিকে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিকাল ৫টার দিকে নোটিশের জবাব দেওয়ার আগেই ভাইস-চেয়ারম্যান তার কিশোর গ্যাং এর সদস্য বাদল,রুহুল আমিন, রাকিবুল,মেহেদী হাসান(সুমন কারী)সহ ৭ থেকে ৮ জন ম্যানেজার রফিকুল ইসলামকে উঠিয়ে আনার জন্য পাঠায়। এতে ম্যানেজার রফিক বলেন কিছুক্ষন পরে যাবো। কিশোর গ্যাংরা এই কথা ভাইস-চেয়ারম্যানকে বলাতে তিনি নিজেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোর গ্যাং নিয়ে আল-মদিনা অটো সেন্টার শোরুমে চলে আসেন। পরে ম্যানেজার রফিককে জিগ্যেস করেন তুই আমার অফিসে যাওনি কেন, এনিয়ে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কিশোর গ্যাং সদস্যরা ও নিজেই তাকে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা ম্যানেজার রফিককে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। এসময় শোরুমে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও নগত ৮৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় কিশোর গ্যাংরা।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রথমদিকে ৭ থেকে ৮ জন রফিককে উঠিয়ে নিয়ে আসার জন্য যায়। এতে রফিক না আসলে পরে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক নিজেই ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রদল ও কিশোর গ্যংয়ের সদস্যদের নিয়ে মদিনা অটো সেন্টার শোরুমে আসেন। এসেই উত্তেজিত হয়ে যায় ভাইস চেয়ারম্যান। পরে ম্যানেজার রফিক এর সাথে কথার কাটাকাটি হয় কিছু বুঝি উঠার আগেই তিনি মারধর শুরু করেন। মারধরের বিষয়টি নিয়ে কিছু না করা জন্য হুমকি দিয়ে যান।

নামপ্রকাশে অনইচ্চুক কয়েক জন ব্যবসায়ী বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বিএনপি সমর্থীত উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি ছাত্রদল ও স্থানীয় শতাধিক কিশোরদের নিয়ে একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করেন। বিভিন্ন অভিযোগের নোটিশ দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হয় এই কিশোর গ্যাং দিয়ে।

উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন,আমি ২৮ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আমার সাধারণ মানুষকে কেউ কিছু বললে আমি সাংবাদিক তো ভালো জজকেও ছাড় দিবো না।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন,এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।